নিজেকে  সংশোধন করার মতো আদর্শ , শিক্ষা ও প্রয়োজনীয়তা আমরা সর্বপ্রথম ছোটবেলায় আমাদের মা, বাবা, পরিবার ও পরিবেশ থেকে পাই। আমাদের ছোটবেলায় আমরা যেভাবে আত্মশুদ্ধির জন্যে ইচ্ছুক থাকি, বড়ো হতে হতে সেগুলো ধীরে হতে থাকে এবং অনেকের মধ্যে শিক্ষার স্থীরতা চলে আসে। একদিকে মানুষের মস্তিষ্কে আর মানসিকতায়  ধারণক্ষমতা কমতে থাকে, আরেকদিকে জীবন চালানোর কর্তব্য, তাগিদ ও কর্তব্য বাড়তে থাকে। মূলত যারা ছোটবেলা থেকে আত্মশুদ্ধি কে একটা কর্তব্য ও আজীবনের প্রক্রিয়া হিসেবে বেছে নেই বা শিক্ষা পায়  তারাই আসলে ক্রমাগত একটা উন্নতির দিকে উঠতে থাকে।

আত্মশুদ্ধির প্রথম একটা  পদক্ষেপ হলো সচেতনতা  বা  awareness, অর্থাৎ উপলব্ধি করার মতো মানসিকতা ও আবেগ থাকা।  নির্বাচন  ও চিহ্নিত করা, সচেতনতার সাথে যে কোন ধরণের আচরণ, চিন্তা, আবেগ, সম্পর্ক বা ব্যবহার  তার জন্যে এবং অন্যদের জন্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে আর কোনগুলো  নেতিবাচক। আত্মকেন্দ্রিক ও অন্যদের প্রতি কর্তব্যের মধ্যে একটা ভারসাম্য খুঁজে নেয়াটা জরুরী এবং আত্মশুদ্ধিতে পরিবর্তন করে সেটা করা সম্ভব। সচেতনতা ও নির্বাচন বা identify  করার পরে আমাদের একটা প্ল্যান এ আসতে হবে। অর্থাৎ কোন জায়গায়, কতটুকু পরিবর্তন করা যায় , বা করা উচিত যেন আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সমস্যাটার একটা ইতিবাচক ফলাফল আসে সেটা   আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে বলবো প্রথম ধাপ।  অর্থাৎ aware হয়ে  বা সচেতন ভাবে সমস্যামূলক আচরণকে চিহ্নিত করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। awareness বা  সচেতনতার আরেকটা অংশ  হলো যে কোনো স্বপরিবর্তনের ক্ষেত্রে সময় লাগে, ডেডিকেশন লাগে, ধৈর্য লাগে এবং বাস্তবসম্মত একটা রেজাল্ট আশা করা।  কারণ বাস্তবসম্মত ফলাফল আশা করলে আত্মশুদ্ধির কাজ কে এতো ভয়াবহ বা কষ্টের লাগে না।

এটা নিশ্চিত যে জীবনে আপনি আরো কষ্ট কে বেছে  নিবেন যদি সময় থাকতে আত্মশুদ্ধি গুলো নিয়ে কাজ করা চালিয়ে না যান।  হয়তোবা  এর অভাবে  শুধু আপনি না আপনার চারপাশের প্রিয় মানুষগুলো কষ্টে শামিল হবে যা তাদের প্রাপ্য না।  এভাবেই আসলে অনেক সুন্দর সম্পর্ক গুলো তার সৌন্দর্য হারায়। থেকে যায় কারো সাথে থাকার অভ্যাস আর সম্পর্কটা মেনে নেয়া।  ভুল বুঝতে অনড় বা শুধরানোর চেষ্টা নেই যাদের মধ্যে তাদের সাথে থাকাটা আসলেই কষ্টদায়ক। তাই আপনি যদি কম কষ্ট কে নিজের ও অপরের জন্যে বেছে নিতে চান, তবে আত্মশুদ্ধি কে হা বলুন. আত্মশুদ্ধিকে সময় ও সুযোগ দিলে জীবনে অনেকখানি ভারসাম্য পাবেন, সম্পর্কের মধ্যেও একটা স্বাচ্ছন্দ চলে আসবে।  আত্মশুদ্ধির অভাবে আমাদের জীবন যেন আরো কষ্টের, সীমিত  ও ভারসাম্যহীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।  আপনার সুবিধার্থে একটি ছক এর  মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির পদক্ষেপগুলো নিচে দেয়া হলো-

Categories: Blog

0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *